কুল চাষে সফল নাজিমুদ্দিন

প্রকাশঃ মার্চ ২, ২০১৫ সময়ঃ ১২:০৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:০৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

najimuddin-kul-casiরাজশাহী শহরে রেলগেট বাজারে তার ছোট ফলের দোকান। ফল ব্যাবসার পাশাপাশি তার মনে স্বপ্ন জাগে ফলের চাষ করা । সেই স্বপ্ন সফল করতে ৭ বছর আগে ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন কুল চাষ। প্রথম দিকে কুল চাষ করে তার তেমন লাভ না হলেও ক্ষতি হয়নি। হাল ছাড়েনি তিনি। বছরের পর বছর অন্যের জমি লিজ নিয়ে কুলের চাষ বৃদ্ধি করে চলেছেন। গত বছর কুল চাষ করে সে লাভের দেখা পেয়েছেন। সে এ বছর আপেল কুল, বাউকুল কুলের চাষ করেছে। এবার লক্ষ্য তার কুল চাষ করে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা আয় করা।

বলছিলাম এক জন ক্ষুদ্র ফল ব্যাবসায়ী নাজিমুদ্দিনের কথা । বাড়ী রাজশাহী মহানগরীর প্রফেসর পাড়ায়। চলতি বছরে গোদাগাড়ীর বলিয়াডাং এলাকায় ২০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে কুল চাষ করেছেন তিনি।

অন্যের কাছ থেকে কুল চাষের জন্য প্রতি বিঘা জমি (এক বছরের জন্য) ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়েছে। প্রতি বিঘায় কুল চাষ করতে জমি লিজ সহ সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। ২০বিঘায় তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় কুলের ফলন হবে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মন। কুল বাগান পরিচর্যার জন্য ৪/৫ জন করে শ্রমিক কাজ করে তার বাগানে।
বর্তমানে রাজশাহী শহরে কুল বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকা দরে। তবে রাজশাহীর বাইরে ঢাকা, সিলেট সহ অন্য জেলায় কুল মণ প্রতি ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তার কুল বাগান থেকে পাকা কুল উত্তোলন শুরু করেছে। প্রথম চালানে এক মণ কুল উত্তোলন হলেও প্রতি চালানে কুল উত্তোলনের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে নাজিমুদ্দিনের কুল চাষের স্বপ্ন পুরন হলেও এ বছর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, হরতাল, অবরোধ ভাবিয়ে তুলেছে তাকে। কুল বিক্রির ভরা মৌসুমে দেশের এ অচলাবস্থায় কুল বাইরের জেলায় বিক্রি করতে না পারলে তার লক্ষ মাত্রা অর্জন হবেনা। এমনকি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার। এমন শংঙ্কা নিয়ে দিন পার করছে তিনি।

প্রতিক্ষণ/এডি/আশরাফ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G